ইউরোপের দেশ পতুর্গাল বিশ্ব পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্র
আটলান্টিক সাগরের কোল ঘেঁষে অবস্থান, নয়নাভিরাম প্রকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর ইউরোপের দেশ পর্তুগাল। হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার কারণে ইউরোপের দেশ পতুর্গাল বিশ্ব পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। ইউরোপের দেশ হলেও, প্রায় বাংলাদেশের মতই সেখানকার আবহাওয়া। বিনয়ী ও বন্ধুসুলভ দেশটির মানুষ। বর্ণ্যাঢ্য সংস্কৃতির সঙ্গে বছর জুড়ে থাকে উৎসব। তাই পর্যটন আকর্ষণে বিশ্বের সব উন্নত দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সপ্তম অবস্থানে পতুর্গাল।আয়তনে বাংলাদেশের চেয়ে ছোট দেশটির ভুখন্ডের পুরো একদিক মিশে গেছে আটলান্টিক সাগরে। দেশ জুড়ে পাহাড়ি রাস্তা; পাহাড়ের স্তরে স্তরে বাড়ি ঘর, শহর, সভ্যতা। সাগর বা নদীর ল্যান্ডক্যাপ বা ঢালেই প্রধানত জনপদ। রাজধানী লিসবনের এক পাশে বয়ে গেছে তেজো নদী। অদূরেই শতাধিক সমুদ্র সৈকত। ফুটবল লিজেন্ড ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর জন্মস্থান মাদেইরা এবং আসুরেস দ্বীপ পর্যটক আকর্ষনের অন্যতম কেন্দ্র। বিশ্বখ্যাত দিক বিজয়ী নাবিক ভাস্কো দা গামার ভারতবর্ষ অবিস্কারের যাত্রাস্থল বেলেমে সারা বছরইপর্যটকের ভিড় লেগে থেকে। তার নামেই লিসবনে আছে ইউরোপের সবচেয়ে বড় সেতু। ছাদ খোলা বাস, টুকটুক ও কয়েকশ’ বছরের পুরনো লোহা—কাঠের ট্রামে চেপে শহর ঘুরে দেখেন পর্যটকরা। পতুর্গিজ কারীসহ মুখোরোচক বিভিন্ন খাবারে মুগ্ধ হন তারা। পর্যটন ম্যাগাজিন গুলোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে প্রায় ৩০ মিলিয়ন পর্যটক এসেছে পতুর্গালে। অর্থনীতিতে যুক্ত হয়েছে ২৫ বিলিয়ন ইউরো। উষ্ণ আবহাওয়া, কম ভ্রমন খরচ, নিরাপত্তাসহ কয়েকটি কারণে পর্যটকদের সন্তুটির রেংকিংয়ে ২০২৩ সালে বিশ্বের এক নম্বর শহর লিসবন। গত কয়েক বছরে পতুর্গালে পর্যটন নির্ভর শিল্প ও ব্যবসা—বাণিজ্যের বিস্তার ঘটছে। প্রবাসী বাংলাদেশীরাও এই সেক্টরে বেশ ভালো অবস্থান তৈরি করেছেন। সিন্ত্রার রাজবাড়ি প্যানা প্যালেস ও ইউরোপের শেষ গ্রান্তকাবো দ্যা রোকা ভ্রমন পিপাসুদের অন্যতম আকর্ষন। পতুর্গালের নাজারে সমুদ্র সৈকতেই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঢৈউ হয়ে থাকে; যেখানে এসে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিশ্বরেকর্ড করেন বিশ্বখ্যাত সার্পাররা। পতুর্গালের ভ্যানিস খ্যাত আভেইরো শহরের লেকে নৌকা ভ্রমন ও রঙিন ছাতার শহর বেশ উপভোগ করেন পর্যটকরা। আলগ্রাম এলাকার সমুদ্র সৈকতগুলো সারাবছরই থাকে পরিপূর্ণ।