post
অভিবাসন

ভূমধ্যসাগরে অভিযানে দুর্দশাগ্রস্ত নৌকা থেকে ১৭৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার

ভূমধ্যসাগরে পৃথক তিনটি অভিযানে দুর্দশাগ্রস্ত নৌকা থেকে ১৭৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে বেসরকারি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী সংস্থা এসওএস হিউম্যানিটির উদ্ধারকারী জাহাজ হিউম্যানিটি-১।ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় এই উদ্ধার অভিযানগুলো পরিচালনা করে সংস্থাটি। এদিন সন্ধ্যায় পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগরে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে আসা একটি ছোট কাঠের নৌকা দেখতে পায় উদ্ধারকারী জাহাজ হিউম্যানিটি-১৷ দুর্দশাগ্রস্ত ওই নৌকাটিতে ৪০ অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন। এটি ছিল, একই দিনে হিউম্যানিটি-১ এর তৃতীয় উদ্ধার অভিযান। এসওএস হিউম্যানিটি জানিয়েছে, সমুদ্রে বিপদগ্রস্ত ওই নৌকাটিতে ছিল না কোনো লাইফজ্যাকেট। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অনেকে হাইপোথার্মিয়ায় ভুগছিলেন। অনেকের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এর আগের দিন সাগরে একটি রাবারের ডিঙ্গি নৌকা থেকে ৯০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে নিরাপদে নিয়ে আসা হয় জাহাজে। এছাড়া একই সময় হিউম্যানিটি-১ এর দেখা পেয়ে ৪৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী নৌকা থেকে লাফিয়ে পড়েন ভূমধ্যসাগরে। পরে তাদের সবাইকে উদ্ধার করেন হিউম্যানিটি-১ এর নাবিকেরা। এসকল অভিবসান প্রত্যাশীদের মধ্যে কোন বাংলাদেশী আছে কিনা তা এখনো জানা যায়নি।

post
অভিবাসন

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষ; গুলিতে নিহত ৪

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে দুই পক্ষের  সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন চার রোহিঙ্গা। মঙ্গলবার রাত ২টায় উখিয়া ১৭ নম্বর মধুর ছড়া ও জামতলি ১৫ নম্বর ক্যাম্পে পৃথকভাবে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় চার জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই বিষয়ে উখিয়া থানার ওসি তদন্ত নাছির উদ্দীন মজুমদার জানিয়েছেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাতে উখিয়া উখিয়া ১৭ নম্বর মধুর ছড়া ও জামতলি ১৫ নম্বর ক্যাম্পে মিয়ানমারের সংগঠন আরসা ও আরএসও  অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) সন্ত্রাসীদের গুলিতে (রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন- আরএসও সদস্য) ওই ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. আলীর ছেলে মো. জোবায়ের (১৬) ঘটনাস্থলে নিহত হন। ১৫ নম্বর ক্যাম্পের জি/৬ মো. শফির ছেলে আনোয়ার সাদেক (২৭) (আরএসও সদস্য), জি/৩ ব্লক এলাকার বাসিন্দা কামাল উদ্দিনের ছেলে জয়নাল উদ্দিন (২৮) ও জি/৭ সৈয়দুল বশরের ছেলে আয়াছ (১৮) গুলিবিদ্ধ হন। পরে আশপাশের রোহিঙ্গারা আহতদের উদ্ধার করে ক্যাম্পে থাকা এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আনোয়ার সাদেকের (২৭) মৃত্যু হয়। বাকিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সন্ত্রাসীদের ধরতে চলছে পুলিশের অভিযান।

post
অভিবাসন

মালয়েশীয়ায় অনিয়মিতদের বৈধ হওয়ার শেষসময়, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর

মালয়েশিয়ায় অনিয়মিতদের বৈধতার আওতায় নিতে রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম শেষ হবে চলতি মাসের ৩১ ডিসেম্বর। এরই ধারাবাহিকতায় প্রবাসীদের দ্রুত পাসপোর্ট দিতে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বিতরণের ঘোষণা দিয়েছে দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। পাসপোর্ট ডেলিভারির জন্য পোস্ট অফিসের পাশাপাশি কুয়ালালামপুরের সিবিএল মানি ট্রান্সফার রেমিট্যান্স হাউস থেকে সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা। মালয়েশিয়ায় বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পাঁচ দিন পাসপোর্ট বিতরণ করবে কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন। দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ সেবাদানের প্রতিশ্রুতি নিয়ে এ উদ্যোগ নিয়েছে মিশনের পাসপোর্ট বিভাগ। দূতাবাস সূত্রে জানা যায়,মালয়েশিয়ায় চলতি মাসে শেষ হচ্ছে অনিয়মিত অভিবাসীদের বৈধতার সুযোগ। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরণ কর্মসূচি ‘রিক্যালিব্রেশন টু পয়েন্ট জিরো শেষ হবে চলতি মাসের ৩১ ডিসেম্বর। এসময়ের মধ্যে যাতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের নাম নিবন্ধন করতে পারেন বা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন সেই লক্ষ্যে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পাসপোর্ট বিতরণ করা হবে। হাইকমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৭, ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর তিন দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কুয়ালালামপুরের সিবিএল মানি ট্রান্সফার রেমিট্যান্স হাউস থেকেও, সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা। সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহকারীদের আগামী ১২ থেকে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এছাড়া ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাসপোর্ট সার্ভিস সেন্টার থেকে সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা। এজন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে। এদিকে, পাসপোর্ট ডেলিভারির জন্য পোস্ট অফিসের সার্ভিসটিও একই সঙ্গে চালু থাকবে। তবে একই সঙ্গে দুই প্রকার সার্ভিসে অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে প্রবাসীদের অনুরোধ জানিয়েছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

post
অভিবাসন

প্রতি বছর ২ লাখ ৮০ হাজার অভিবাসী কর্মীর নেবে ইতালি

ইতালির শ্রমবাজারে ঘাটতি মেটানোর জন্য ২০৫০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর অন্তত ২ লাখ ৮০ হাজার অভিবাসী কর্মীর প্রয়োজন হবে। এ তথ্য সম্প্রতি জানিয়েছে গবেষণা সংস্থা আইডিওএস সেন্টার অব স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ। সংস্থাটির জানানো অনুযায়ী, বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে শ্রমবাজারে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। বিদেশি কর্মীদের বিষয়ে ইতালি সরকারের একগুঁয়েমি নীতির কারণে গত ১২ বছর ধরে অভিবাসীদের প্রবেশের পথ বন্ধ ছিল যা অর্থনীতিতে ঘাটতি সৃষ্টি করেছে। তবে ২০০৪-২০০৬ সালের মধ্যে বিদেশি নাগরিকদের ইতালির শ্রমবাজারে কাজ করার সুযোগ দিতে যে নীতি প্রণয়ন করেছিল সরকার, তার প্রশংসা করেছে আইডিওএস। নতুন নীতি অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ১ লাখ ৩৬ হাজার, ২০২৪ সালে ১ লাখ ৫১ হাজার এবং ২০২৫ সালে ১ লাখ ৬৫ হাজার অভিবাসীকে নিয়মিতভাবে ইতালি প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে। সংস্থাটি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অভিবাসীদের ইতালির সমাজে সমন্বয় করার জন্য। অনেক অভিবাসী কর্মী কম বেতনে ও ক্লান্তিকর কাজে নিয়োজিত হওয়া এবং ইতালীয় কর্মীদের তুলনায় তাদের দক্ষতা ও আয়ে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। আইডিওএস সেন্টার অব স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চের প্রেসিডেন্ট লুসা ডি সিউলোর মন্তব্য করেছেন, অভ্যন্তরীণ চাহিদা অনুযায়ী অভিবাসী কর্মীদের শ্রমবাজারে প্রবেশ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

post
অভিবাসন

২০ বাংলাদেশিসহ মালয়েশিয়ায় ৬৫ অভিবাসী আটক

মালয়েশিয়ায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ৬৫ বিদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ। এর মধ্যে ২০ জন বাংলাদেশি। এ সময় জাল ভিসা, স্টিকার তৈরি চক্রের মূলহোতা এক বাংলাদেশি ও এক ভারতীয়কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সেমুনিয়া ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে।স্থানীয় সময় শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতু রুসলিন জুসোহের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ৫ ও ৬ এপ্রিল পুত্রজায়ার বিশেষ শাখার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি এনফোর্সমেন্ট ডিভিশন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে এ চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারদের মধ্যে ৪৩ জন ভারতীয়, ২০ জন বাংলাদেশি ও দুজন পাকিস্তানি নাগরিক রয়েছেন। তাদের সবার বয়স ২৫-৪৫ বছরের মধ্যে। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে ভারতীয় ৪০টি, বাংলাদেশি ২০টি ও ও দুটি পাকিস্তানি পাসপোর্টসহ মোট ৬৫টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে।এ পাসপোর্টগুলো দালালরা জাল পিএলকেএস ওয়ার্ক পারমিট লাগিয়ে বৈধ করার প্রলোভন দেখিয়ে সংগ্রহ করেছিল। প্রত্যেক পাসপোর্টে জাল ভিসা লাগানোর জন্য জনপ্রতি ছয় হাজার রিংগিত অগ্রিম নেওয়াও হয়েছিল। চক্রের মূলহোতা একজন ভারতীয় পুরুষ। তার বয়স ৪৩ বছর। রাজধানী কুয়ালালামপুরের ব্রিকফিল্ড এলাকায় প্রথমে তার অফিসে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট ও জাল ভিসার স্টিকারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।ভারতের ওই নাগরিকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিকে সেরেমবান রাজ্যে অভিযান চালিয়ে ৩০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়। তিনিও এ চক্রের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করছিলেন। গ্রেফতারদের অধিকতর তদন্ত ও পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সেমোনিয়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।

post
অভিবাসন

বৈধভাবে মালয়েশিয়ায় গিয়েও চাকরি না পাওয়া ২৬ বাংলাদেশিকে উদ্ধার

মালয়েশিয়ায় বৈধ কর্ম ভিসায় গিয়ে চাকরি বঞ্চিত ২৬ বাংলাদেশি কর্মীকে উদ্ধার করেছে দেশটির শ্রম বিভাগ। কোনো কাজ না দিয়ে তাদের বসিয়ে রেখেছিল নিয়োগকর্তা। গত বুধবার এলাকাবাসী কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেলাঙ্গর রাজ্যের পোর্ট ক্লাংয়ের একটি আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।অভিযানের নেতৃত্বে দেওয়া শ্রম বিভাগের উপ মহাপরিচালক (অপারেশন) আসরি আবদ ওয়াহাব গণমাধ্যমকে জানান, উদ্ধারের পর তাদের একটি সেফ হাউসে রাখা হয়েছে। শ্রম বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়, উদ্ধার করা শ্রমিকরা গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বৈধভাবে মালয়েশিয়ায় আসেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত নিয়োগকর্তারা তাদের চাকরি দিতে ব্যর্থ হন এবং তাদের কোনো আয় ছাড়াই বসিয়ে রাখেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলেছে, অভিবাসী শ্রমিকরা যাতে প্রতারণা বা বাধ্যতামূলক শ্রমের শিকার না হন তা নিশ্চিত করতে অভিযান চালানো হয়েছিল। শ্রম বিভাগ সম্ভাব্য চাকরি খোঁজা বা শেষ উপায় হিসেবে শ্রমিকদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোসহ অন্যান্য সহায়তা দেবে। বিবৃতিতে বলা হয়, 'শ্রম বিভাগ এমন কোনো বিষয় আপোস করবে না, যা বাধ্যতামূলক শ্রমের দিকে পরিচালিত করবে এবং দেশের ভাবমূর্তিকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করবে।' 'প্রতিটি সেক্টরের নিয়োগকর্তারা বিদেশি কর্মীদের জন্য আবেদন করার পর তাদের বাধ্যবাধকতাকে সম্মান করতে হবে। এর মধ্যে আছে চাকরি দেওয়ার পাশাপাশি উপযুক্ত বাসস্থান।' বিদেশি কর্মীদের জন্য আবেদনে বাধ্যতামূলক মানদণ্ড ও নির্দেশিকাগুলো মেনে না চললে নিয়োগকর্তাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে বলেও দেশটির শ্রম বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

post
অভিবাসন

প্রবাসীদের হুন্ডি করে দেশে টাকা না পাঠানোর অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

প্রবাসীদের হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা না পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (০৪ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা অনুরোধ করবো- যে এখন যারা রেমিট্যান্স পাঠায় যেন হুন্ডি না পাঠিয়ে সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে যাতে পাঠায় সে ব্যবস্থাটা করা।’ প্রবাসীদের দেশে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা তো যৌথ উদ্যোগে দিচ্ছি, এখন তো অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি। সেখানে কিন্তু যারা ব্যবসা বাণিজ্য করতে চায় তারা কিন্তু সেখানে বিনিয়োগ করতে পারে। সে জন্য পার্টনার খুঁজে নিয়ে আসলে আরও ভালো হয়। বিনিয়োগ যত আসবে তত ভালো।’ দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগ ভালোই আসছে। বিদেশী বিনিয়োগ, সবার একটা ভালো আকাঙ্খা, বাংলাদেশের দিকে সকলের দৃষ্টি। বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ছে।’ মানুষের যাতে খাওয়ার কষ্ট না হয় সেজন্য সরকারের আন্তরিকতার জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যতটাকা লাগুক, যেখান থেকে পারি খাবার জিনিস আমরা কিনে নিয়ে আসছি। ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য আমাদের একটু সমস্যা। আর তা না হলে আমাদের কোন সমস্যা থাকার কথা না। মানুষের খাওয়ার কষ্ট আমরা হতে দেবো না।’ দেশে মূল্যস্ফীতি কমতির দিকে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কা তো সব জায়গায় লেগেছে। বিশ্বব্যাপী মানুষের খুবই কষ্ট। মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। তবে আমাদের এই এখন কিছু মূল্যস্ফীতি কমেছে। একটু ভালোর দিকে।’ এবার ফসল ভালো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আর আল্লাহর রহমতে ফসল ভালো হইছে। আমনও খুব ভালো বাম্পার ফলন। এখন বোরো লাগানোর জন্য সবাই খুব ব্যস্ত। ’ দেশকে এগিয়ে নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট সবাই খুব ভালো কাজ করছে বলে জানান তিনি।

post
অভিবাসন

২০২৩ এ বাংলাদেশ থেকে লক্ষাধিক কর্মী নেবে রোমানিয়া

আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়া এক লাখের অধিক কর্মী নেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। নির্মাণ খাতে এসব কর্মী নেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ড. মোমেন বলেন, অনেক দিন ধরে আমাদের লোক মধ্যপ্রাচ্যে যাচ্ছে। সুখবর হলো গত বছর থেকে রোমানিয়ায় আমাদের লোক যাওয়া শুরু হলো। গত পরশু (রোববার) খবর পেলাম আগামী বছর (২০২৩ সাল) এক লাখের অধিক কর্মী নেবে রোমানিয়া। আমাদের রাষ্ট্রদূত এ তথ্য জানিয়েছেন। যতদূর জেনেছি, রোমানিয়া নির্মাণ খাতে কর্মী নেবে। বাংলাদেশে রোমানিয়ার কোনো মিশন নেই। দেশটি ভারত থেকে বাংলাদেশের কার্যক্রম দেখভাল করে। চলতি বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝিতে দেশটি ৩ মাসের জন্য ঢাকায় ৬ সদস্যের কনস্যুলার টিম পাঠায়। তারা ঢাকা থেকে বাংলাদেশিদের কনস্যুলার সেবা দেয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, দেশটি তিন মাসে ঢাকায় ৩ হাজার ৪০০ পেন্ডিং ভিসাসহ প্রায় ৫ হাজার ভিসা ইস্যু করেছে। আগামী বছর বাংলাদেশি কর্মী নিতে দেশটির কনস্যুলার টিম আবার ঢাকায় এসে সেবা দেবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, রোমানিয়ার ভিসা পেতে হলে যেতে হয় দিল্লিতে। একই অবস্থা মালটা বুলগেরিয়াও হাঙ্গেরিতে। আমরা রোমানিয়ার সঙ্গে আলাপ করলাম। আমরা বলেছি, তোমরা ঢাকায় আসো। আমরা তোমাদের সব ব্যবস্থা করে দেব। তারা রাজি হলো। তারা ১৪ হাজার ভিসা দেয়। আমাদের লোক চলে গেছে। তারা নির্মাণ খাতে কাজ করছে। তারা আগের মতো এসে সেবা দেবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হলেও টাকার কারণে রোমানিয়া ঢাকায় কনস্যুলার খুলছে না বলে জানান ড. মোমেন।

post
অভিবাসন

ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের গ্রহণ করবে পর্তুগাল

ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার করে ফ্রান্সের তুলন বন্দরে নোঙর করা অভিবাসীদের গ্রহণ করবে পর্তুগাল।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পর্তুগিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোয়াও ক্রাবিনো এ বিষয়টি প্রকাশ করেন। গত ১১ নভেম্বর ২৩৪ জন অভিবাসীকে নিয়ে ওশান ভাইকিংস নামক মানবিক জাহাজ ইতালির বন্দরে নোঙর করতে অপেক্ষ করে। কিন্তু তিন সপ্তাহ ধরে অপেক্ষার পরও জাহাজটি ইতালি বন্দরে ভেড়ার অনুমতি পায়নি। মানবিক এই পরিস্থিতিতে ফ্রান্স সাড়া দেয় এবং এটি ফ্রান্সের তুলোন বন্দরে গত ১১ নভেম্বর ভিড়তে সক্ষম হয়। সেসব অভিবাসীর মধ্যে থেকে কয়েকজনকে নিজ দেশে নেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন পর্তুগিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিকে মানবিক জাহাজটিকে ইতালির বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ায় ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ ইতালির সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করেন। একইসঙ্গে ইতালি সীমান্তে এক ডজনেরও বেশি চেকপোষ্ট বসিয়ে সীমানা নিয়ন্ত্রণ করার খবর পাওয়া যায়। ইতালির প্রতি চাপ প্রয়োগ করতে বিভিন্ন সীমান্তে পাঁচশ'র বেশি পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী মোতায়ন করেছে ফ্রান্স। অপরদিকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ফ্রান্স একটি ইউরোপীয় দেশ হিসেবে আরেকটি দেশের উপর এভাবে আঘাত করতে পারে না। তাদের এই অযৌক্তিক প্রতিক্রিয়ায় আমরা আঘাত পেয়েছি। তিনি বলেন, আফ্রিকা থেকে ইতালি অভিবাসীদের একমাত্র গন্তব্য হতে পারে না। এদিকে পর্তুগিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রান্সের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের গুরুত্ব হিসেবে আমরা সমান্তরালে থাকতে চাই। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন মেনে ভূমধ্যসাগর এবং আটলান্টিক এর ইউরোপ উপকূলবর্তী সমুদ্রে দুর্দশা গ্রস্থ ব্যক্তিদের সহযোগিতা করার জন্য এস ও এস মিডিটোরিয়ানো নামের একটি মানবিক সংস্থা কর্তৃক ওশান ভাইকিংস নামক এই জাহাজটি ২০১৯ সাল থেকে ভূমধ্যসাগরে এবং ইউরোপ উপকূলে বিপদ সংকুল সমুদ্র পাড়ি দেওয়া অভিবাসীদের উদ্ধার করে আসছে। এই প্রকল্পটির সার্বিক অর্থায়নের সহযোগিতা করছে নরওয়ে কর্তৃপক্ষ।

post
অভিবাসন

মালয়েশিয়ায় চলতি বছরে বাংলাদেশি সহ ১৯ হাজারেরও বেশি অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার

মালয়েশিয়ায় চলতি বছরে ১৯ হাজারেরও বেশি অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার করা হয়েছে। জানুয়ারি থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৯ হাজার ৯৪৬ জন অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয় বলে অভিবাসন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক, খাইরুল জাইমি দাউদ বলেছেন, এই বছরের অভিযানে বেশির ভাগ অভিবাসীকে আবাসিক বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২ হাজার ৭৪৮টি আবাসিক বাড়িতে অভিযান চালানো হয়- যা অন্যান্য স্থানের তুলনায় সর্বোচ্চ। ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৪ হাজার ৭৪৫ জন অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়। তার মতে, কন্ডমিনিয়াম এবং নির্মাণ সাইটে ১ হাজার ৩০টি অভিযান চালিয়ে ৪ হাজার ৬৭৯ অভিবাসীকে গ্রেফতার হয়েছে। এছাড়া অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতারে ম্যাসেজ হোম, জুয়া এবং বিনোদন কেন্দ্র, ব্যবসার জায়গা, বাজার, গাড়ি ধোয়া, নিরাপত্তা প্রহরীর স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।চলতি বছরে গ্রেফতার হওয়া অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা ১৯ হাজার ৯৪৬ জন। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সিনার হারিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমিগ্রেশন পরিচালক খায়রুল জায়মি দাউদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গ্রেফতারদের মধ্যে রয়েছে, ইন্দোনেশিয়ানরা সবচেয়ে বেশি ৮ হাজার ৬৭৯ জন, তারপরে মিয়ানমার ২ হাজার ৯৩৯, বাংলাদেশ ২ হাজার ৭৬৭, থাইল্যান্ড ১ হাজার ৩৯৬ এবং ভারত ১ হাজার ২৬০। বাকিরা হলো ফিলিপাইন, পাকিস্তান, নেপাল, ভিয়েতনাম এবং চীনসহ অন্যান্য দেশে অভিবাসী।এদিকে অভিবাসী ছাড়াও, অভিবাসন ২৭২ নিয়োগকর্তাকে আটক করেছে যারা অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ দিয়েছিল। ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এর অধীনে অভিযান পরিচালিত হয়েছিল। কোনো অবৈধ অভিবাসীকে রক্ষা করা বা সহানুভূতি বোধ করা জনগণের উচিত নয়। যারা অবৈধ অভিবাসীকে রক্ষা করতে পাওয়া যাবে তাদের অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৫৫ই এর অধীনে বিচার করা হবে এবং দোষী প্রমাণিত হলে ৫ হাজার রিঙ্গিত জরিমানা, কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক খায়রুল জাইমি দাউদ।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.