post
অনুষ্ঠান

আবদুল্লাহপুর ওয়েল ফেয়ার ট্রাষ্ট ইউকের ইফতার

আবদুল্লাহপুর ওয়েল ফেয়ার ট্রাষ্ট ইউকের উদ্যোগে পূর্ব লন্ডনের স্থানীয় একটি হলে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বদরুল হক ও পরিচালনা করেন ফরহাদ উদ্দিন। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন আব্দুর রহমান। রোজার তাৎপর্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সেক্রেটারী শামিম আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ সেলিম, হারুন রশিদ, সালেহ আহমদ নাজু, এমদাদুর রহমান শুককুর, মহি উদ্দিন এবং ফয়েজ উদ্দিনসহ আরো অনেকে।

post
অনুষ্ঠান

৩ সেকেন্ড রিভিউয়ে সপ্তাহে ১৬০ কোটি আয়ের অভিনব পদ্ধতি!

মাত্র ৩ সেকেন্ডে বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ শেয়ার করে এক সপ্তাহে ১৬০ কোটি টাকা আয় করেন চীনের ঝেং জিয়াং জিয়াং নামক একজন নারী। এই চীনা নারী সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রভাবশালী অনলাইন পণ্য প্রচার করে একরকম বিপ্লবই ঘটিয়ে ফেলেছেন।এনডিটিভি জানিয়েছে, বিভিন্ন সামাজিক প্লাটফর্মের এক একটিতে ঝেং জিয়াং জিয়াংয়ের ৫০ লাখেরও বেশি অনুসারী আছে। বেশিরভাগ সোশ্যাল মিডিয়ারই প্রভাবশালীরা সাধারণত বিশদভাবে বর্ণনা করে বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ দিয়ে থাকলেও ঝেং তা না করে কেবলমাত্র তিন সেকেন্ডের জন্য একটি পণ্য দেখান।এমনকি লাইভে থেকেও মাত্র ৩ সেকেন্ডের মধ্যে পণ্যের রিভিউ দেন তিনি। লাইভ চলাকালীন ঝেংয়ের সহকারী একটি কমলা রঙের বাক্স থেকে বিভিন্ন আইটেম একের পর এক তার হাতে তুলে দেন। মিলি সেকেন্ডের মধ্যে তিনি প্রতিটি পণ্য নিয়ে সংক্ষিপ্তভাবে এটি ক্যামেরায় প্রদর্শন করেন, এর দাম উল্লেখ করেন এবং অবিলম্বে লাইভ বন্ধ করে দেন। তার অভিনব কৌশলটি অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। কারণ তিনি যেসব পণ্য প্রচার করেন সেগুলোর বিক্রির হার হুড়হুড় করে বেড়ে যায়। এত অল্প সময়ে দর্শকদের মনোযোগ ধরে রাখার জন্য ঝেংয়ের এই অভিনব পদ্ধতি বেশ প্রশংসিত হচ্ছে।

post
অনুষ্ঠান

চ্যানেল আই সেরা কন্ঠ নর্থ আমেরিকার অডিশন রাউন্ডে ওয়াশিংটন ডি.সি ‘র ৫ জনের মিললো 'ইয়েস কার্ড'

এখানে গানের প্রতিযোগিতায় এসেছিলো শিশুরা। তারা গাইলো তাদের প্রিয় গানগুলো। বড়রাও এসেছিলেন কেউ কেউ। তারাও শিশুদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়লেন। তবে প্রতিযোগিতা ছাপিয়ে অনুষ্ঠানস্থল গানের হয়ে উঠলো। আর হয়ে উঠলো উপভোগ্য। তাতে ইয়েস কার্ড পেলো ৫ জন। তবে জয়ী হলো তারা সবাই। গত ৩০ ডিসেম্বর শুক্রবার, ভার্জিনিয়ার আলেক্সজেন্ড্রিয়ার “ডাটা গ্রুপ সেন্টার” মিলনায়তনে চ্যানেল আই সেরা কন্ঠ নর্থ আমেরিকা-ওয়াশিংটন ডিসি অডিশন অংশ নেন এমন ২০ জন প্রতিযোগী। তাদের মধ্যে ইয়েস কার্ড পেয়ে চ্যানেল আই সেরাকন্ঠ উত্তর আমেরিকায় ফাইনাল রাউন্ডে অংশ নেওয়ার সুযোগ মিললো ৫ জনের। বড়দের চেয়ে অপেক্ষাকৃত শিশুরাই ছিলো এগিয়ে। এবং তারাই বিজয়ী হয়ে পরের রাউন্ডে যাওয়ার গৌরব অর্জন করে নিয়েছে।এর হচ্ছে- মাহদীয়া ঈশাল, অপ্সরা বণিক, শ্রেয়সী বড়ুয়া, ঐশ্বর্য্য বণিক এবং এন্থনী রুদ্র।ওয়াশিংটন অডিশনের বিচারক ছিলেন প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী কন্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায় ও নাসের চৌধুরী।বিচারকরা কাগজ কলম নিয়ে টেবিলে বসলে প্রথমেই গান গাইতে এলো শিশু শিল্পী ঐশ্বর্য্য বণিক। সে গাইলো সোলসের সেই বিখ্যাত গান- এ এমন পরিচয়, অনুমতি প্রার্থনা। দারুণ সুর ছড়িয়ে ঐশ্বর্য্য মঞ্চ ছাড়লে স্ট্যাফানি মন্ডল দিশা গেয়ে শোনালো যারে, যারে উড়ে যারে পাখি গানটি। শিশুকণ্ঠে লতা মুঙ্গেশকরের সেই গান উপভোগ করলো সকলে। সে সুরের রেশ কাটতে না কাটতেই চিরকূট ব্যান্ডের গান নিয়ে এলো তানজিমা মিষ্টি। সে গাইলো একটু তোমায় নিলাম আমি- গানটি। পরে শাহনাজ রহমতউল্লার দেশাত্ববোধক গান আমার দেশেরও মাটিরও গন্ধে ভরে আছে সারা মন গেয়ে সকলকে মুগ্ধ করলো শ্রেয়সী বড়ুয়া। আর সুবীর নন্দীর দিন যায় কথা থাকে গানটি গেয়ে শোনালেন আবদুল্লাহ আল মাসুদ। মান্না দের কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই থেকে গাওয়ার চেষ্টা করলেন সুব্রত বাইন। খালিদ হাসান মিলুর যে প্রেম স্বর্গ হতে এসে জীবনে অমর হয়ে রয় এই গানটি গেয়ে বিচারকের মন পেতে চেষ্টা করলেন পরপর দুই জন নিহারজিৎ দত্ত ও তানভীর। তবে আবারও সুবের তালে দর্শকদের মাতিয়ে বিচারকদেরও মন কেড়ে নিলো শিশু শিল্প মাহদীয় ঈশাল। সে গেয়ে শোনালো রবীন্দ্র সঙ্গীত- তোমার খোলা হাওয়া, লাগিয়ে পালে। রবীন্দ্র সঙ্গীতের রেশ কাটতে না কাটতেই নজরুল গীতি নিয়ে এলো অপ্সরা বণিক। ফিরিয়া যদি সে আসে এই রাগপ্রধান গানটি গেয়ে সকলকে মুগ্ধ করলো সে। এরপর কিছুটা বক্তৃতার পালা হলেও সবশেষে ছোট্ট শিশু এন্থনি রুদ্র তার গানে দর্শককে মুগ্ধ করলো। গান শেষ হলে ফলের অপেক্ষা। অবশেষে জানানো হলো চ্যানেল আই সেরা কন্ঠ নর্থ আমেরিকার অডিশন রাউন্ডে ইয়েস কার্ড পেয়েছে ওয়াশিংটন ডি.সি ‘র মাহদীয়া ঈশাল, অপ্সরা বণিক, শ্রেয়সী বড়ুয়া, ঐশ্বর্য্য বণিক ও এন্থনী রুদ্র।আগামী ২রা জানুয়ারী নিউ ইয়র্কের গুলসান টেরেসে জাকজমকপূর্ণ ফাইনাল রাউন্ডে যোগ দেবার আমন্ত্রণ জানিয়ে ইয়েস কার্ড দেন চ্যানেল আই ইউএসএ’র চীফ অপারেটিং অফিসার রাশেদ আহমেদ।ডিসি অডিশন রাউন্ডে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রবীন সাংবাদিক সরকার কবির উদ্দিন, মাসুদা খাতুন, প্রযোজক ওয়ালি ফাহমি, ড. ফয়সল কাদের ও স্পন্সর‌ ডাটা গ্রুপ সিওই জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানের সাবির্ক সহযোগিতায় ছিলেন শামীম চৌধুরী, রেদোওয়ান চৌধুরী, প্রানেশ হালদার, মাহসাদুল ইসলাম রূপম।ওয়াশিংটন ডিসির আগে কানাডার টরন্টো, ফিলাডেলফিয়া, নিউজার্সি, নিউইয়র্কসহ পৃথক পৃথক রাজ্যে জুমে আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ২রা জানুয়ারী উত্তর আমেরিকার সকল আঞ্চলিক বিজয়ীরা নিউইয়র্কে চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেবে। সেখানে বিজয়ী চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স আপ বাংলাদেশে চ্যানেল আই সেরা কন্ঠ পর্বে অংশ নেবে। তবে নিউইয়র্কে সেরা পাচ নির্বাচিত করা হবে। কোন কারনে চ্যাম্পিয়ন কিংবা রানার্স আপের কেহ বাংলাদেশ পর্বে অংশ গ্রহনে অপরাগ হলে পর্যায়ক্রমে বাকী তিনজন থেকে অন্তর্ভূক্ত করা হবে।

post
অনুষ্ঠান

বিসিএ'র আনন্দঘন বড়দিন পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান

খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান বড়দিন উদযাপনে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন-মেরিল্যান্ড- ভার্জিনিয়া (ডিএমভি)'র বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ছিলো নানা আনন্দময় আয়োজন ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালা।কীর্তন, গির্জায় খ্রীষ্টযাগ, বাড়িতে বাড়িতে আলোকসজ্জা, ক্ষমা অনুষ্ঠান ও নানা পদের বাংলা খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বড়দিনের ঐতিহ্যবাহী উদযাপন সম্পন্ন হলো এখানে। বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশন, ইনক(বিসিএ) মেট্রো ওয়াশিংটন এলাকায় তিন দশক ধরে বাঙালি কায়দায় বড়দিন উৎসব উদযাপন করে আসছে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম ছিলো না। দীর্ঘ এক মাস বাড়ি বাড়ি কীর্তন পরিবেশনা শেষে গত ২৬ ডিসেম্বর সিলভার স্প্রিং এলাকার রস্কো আর নিক্স এলিমেন্টারি স্কুল অডিটোরিয়ামে বড়দিন পূর্ণমিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তিন শতাধিক প্রবাসী বাঙালির উপস্থিতিতে স্থানীয় শিল্পীদের নাচ, গান, যীশু খ্রীষ্টের জন্মের উপর নাটিকা, ব্যান্ড সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উদাপিত হয় বড়দিন। এছাড়াও ছিলো লটারির র্যাফেল ড্র। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ডা. পেট্রিসিয়া শুক্লা গমেজ অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। তিনি উপস্থিত দর্শকের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বড়দিন আমাদের ধর্মীয় প্রাণের উৎসব। প্রবাসে নানা বাস্ততার মাঝেও আমরা সকলে আজ একত্রে মিলিত হতে পেরেছি। বাংলা সংস্কৃতি আপনারা ভালোবাসেন বলেই আজ আমাদের ডাকে আপনারা সাড়া দিয়েছেন। সংগঠনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নিয়তি নির্মলা রোজারিও অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের ঘোষণা করে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক তিলোত্তমা ও বিস্ বিভাষ ফ্রান্সিস রোজারিওকে মঞ্চে আহ্বান করেন তাদের হাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেন। এর আগে বর্তমান কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের উপস্থিতিতে বড়দিনের কেটে কাটেন প্রেসিডেন্ট ডা. পেট্রিসিয়া শুক্লা গমেজ ও ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্যামল ডি'কস্তা। এ সময় সংগঠনের উপদেষ্টা জুড ভি গোমেজ, খ্রিষ্টফার গোমেজ ও ড. পল ফেবিয়ান গোমেজ উপস্থিত ছিলেন। সাংস্কৃতিক পর্বে সংগঠনের নিয়মিত শিল্পীদের পরিবেশনায় বড়দিনের গান 'আজ এলো সেই বড়দিন' ও দেশের গান 'প্রতিদিন তোমায় দেখি সূর্যের আগে' পরিবেশন করা হয়। যার পরিচালনায় ছিলেন মুক্তা মেবেল রোজারিও ও সবিতা গোমেজ। একঝাঁক শিশু-কিশোরদের নিয়ে সুমা গোমেজের পরিচালনায় পরিবেশন করা হয় যীশুর জন্মভিক্তিক নাটিকা। শিশু-কিশোরদের গানে অংশ নেয় অনন্ত পিউরিফিকেশন, মেঘা পিউরিফিকেশন দ্রোহী পেরেরা। নাচে অংশ নেয় স্যান্ড্রা মারিয়া পেরেরা, মনীষা গোমেজ, পিটার পালমা, এলিজাবেথ পালমা ক্লাউডিয়া রিবেরু, তিলোত্তমা রোজারিও , পরমেশ্বপরী, মেঘা পিরিফিকেশন, এমিলিয়া গোমেজ ও ক্লেয়ার রোজারিও। নৃত্যে কোরিওগ্রাফি করেন মঞ্জুরি নৃত্যালয়ের শিল্পী গ্লোরিয়া রোজারিও ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন নৃত্যশিল্পী রোজ মেরি মিতু রিবেরু। বাংলা বাজারের সৌজন্যে উপস্থিত দর্শকদের অংশগ্রহণে ক্যুইজ পর্ব ও পুরস্কার বিতরণ পরিচালনা করেন বিপুল এলিট গনসালভেস ও খ্রীষ্টফার রোজারিও। আহার পর্ব চলাকালে প্রজেক্ট এক্স ব্যান্ড দল সংগীতের মাধ্যমে বড়দিনের আনন্দকে আরো একধাপ উত্তাপ ছড়িয়ে দেয়। হৃদয় পেরেরা, অদিতি পিউরিফিকেশন ও সক্রেটিস পিউরিফিকেশন এক এক করে জনপ্রিয় ব্যান্ড সঙ্গীত পরিবেশন করে উপস্থিত দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন। আহার পর্বের শেষে লটারি ড্র এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্যামল ডি'কস্তার ধন্যবাদ বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় বড়দিন পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান গ্রান্ড স্পন্সর ছিলেন লোন অফিসার শরীফ আহমেদ, লোন অফিসার মতিন, রিয়েলেটর আলবার্ট গোমেজ, রিয়েলেটর টমাস ডেনিম রোজারিও, ডায়না ফেশন ও মৌরিয়া কাবাব রেষ্টুরেন্ট (শীতল ডমিনিক গমেজ)।

post
অনুষ্ঠান

বাই'র নতুন পরিচালনা পর্ষদের শপথ ও বিজয় দিবস উদযাপন

শপথ নিলেন বাংলাদেশ আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ইনকর্পোরেশন-বাই'র নতুন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা। তারা সংগঠনের সংবিধান মেনে তাদের দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার করলেন।যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের প্রাচীনতম সংগঠন এই বাই। সম্প্রতি এর ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন হয়ে গেলো। নতুন বছরে এসে বাই যাতে তাদের গৌরবময় পথচলা আরও প্রসারিত করতে পারে সে লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে নতুন কমিটি। গত ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের বেথেসডায় এই শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। আয়োজনে একই সঙ্গে ছিলো বাই-এর সাধারণ সভা। আর মহান বিজয় দিবস উদযাপন। নাচ-গান-কবিতায় উদযাপিত হয় মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়। সুদুর আমেরিকায় বসে বাংলাদেশের জাতীয় দিনগুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করাই বাই-এর অন্যতম প্রধান একটি কাজ। সে কথাই বলছিলেন বাইয়ের সাধারণ সম্পাদক দিলশাদ চৌধুরী ছুটি। সাধারণ সভায় বার্ষিক প্রতিবেদন তুলে ধরছিলেন তিনি। সাধারণ সভায় বাইয়ের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট সালেহ আহমেদ বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য রাখেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট শফিকুল ইসলাম। তুলে ধরা হয় বার্ষিক অর্থ প্রতিবেদন। সংগঠনের ভবিষ্যত কর্মপন্থা ও পথচলা সুগম করতে করণীয় দিকগুলো নিয়ে সদস্যরা আলোচনা করেন। বিভিন্ন প্রশ্নও উত্থাপন করেন তারা যার উত্তর দেন বিদায়ী ও নতুন কমিটির প্রধানরা। এতে ডিসি, ভার্জিনিয়া, মেরিল্যান্ডের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের অন্য রাজ্যগুলো থেকেও যাতে সদস্য নেওয়া হয় সে বিষয়ে প্রস্তাব ওঠে। কমিউনিটির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কথা উঠে আসে আলোচনায় যাদের পৃষ্ঠপোষকতায় বাই এগিয়ে চলেছে। এতে বারবারই উঠে আসে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপের নাম। পরে ২০২৩-২৪ মেয়াদের জন্য নির্বাচিত পরিচালনা বোর্ডের সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান নির্বাচন কমিশনার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী। নির্বাচন কমিশনার বশির আহমেদ ও শফি দেলোয়ার কাজল এসময় উপস্থিত ছিলেন। নতুন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা হচ্ছেন সভাপতি শফিকুল ইসলাম (মেরিল্যান্ড), সহসভাপতি দিলশাদ চৌধুরী ছুটি (মেরিল্যান্ড), সাধারণ সম্পাদক তাহমিদ শাহরিয়াদ (ভার্জিনিয়া), যুগ্ম সম্পাদক আনিসুজ্জামান খান (ভার্জিনিয়া), কোষাধ্যক্ষ আফরিন বেগম ফেন্সী (মেরিল্যান্ড), পরিচালক মেরিনা রহমান (মেরিল্যান্ড), ফয়সাল করিম (ভার্জিনিয়া), আরিফ আহমেদ (মেরিল্যান্ড), রেহানা কুদ্দুস (ভার্জিনিয়া), ফ্রেন্সিস গোমেজ (মেরিল্যান্ড), তারিক হাবীব (ভার্জিনিয়া), ডোরা গোমেজ (মেরিল্যান্ড), সামিউল ইসলাম (ভার্জিনিয়া), আবুল এহসান ভুঁইয়া (মেরিল্যান্ড)বাইয়ের সাবেক নেতৃত্বদের মধ্যে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নতুন প্রেসিডেন্ট শফিকুল ইসলাম। এরপর শুরু হয় বিজয় উদযাপন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই বিজয়ের দিনটিকে স্মরণ করে ডোনা গোমেজ গাইলেন জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো। পরে ফ্রান্সিস গোমেজের কণ্ঠে সকলে শুনলো যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে লক্ষ মুক্তি সেনা। ভয়েস অব আমেরিকার সাংবাদিক আনিস আহমেদ পড়ে শোনালেন স্বরচিত কবিতা ২৫ থেকে ২৬। পরপর দুটি দিনের দুটি উল্টো চিত্র বাংলাদেশের জন্য কতটা কষ্টের ও আবেগ-আনন্দের তা ফুটে উঠেছে এই কবিতায়। এরপর নাচ। নতুন প্রজন্মে এই দেশে বেড়ে ওঠা ছেলে-মেয়েরা নাচলো ধনধান্য পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা... মুক্তিরও মন্দিরও সোপানও তলে কত প্রাণ হলো বলিদান.... তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেবো রে... আর পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে রক্তলাল রক্তলাল রক্তলাল এমন সব মুক্তির প্রাণ জাগানিয়া গানে। সবশেষে ছিলো নৃত্যনাট্য। বাংলাদেশের কিংবদন্তী শিল্পী লায়লা হাসানের নির্দেশনা ও পরিচালনায় দর্শক দেখলো সব কটা জানালা খুলে দাওনা ওরা আসবে চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ এর উপর একটি অনন্য উপস্থাপনা। এসব উপস্থাপনায় শিল্পীরা ছিলেন মকবুল আহসান টিটো, প্রণব বড়ুয়া, ফারিয়া ইসলাম মাহিন, মারিয়া ইসলাম জাহিন, হারুনুর রশিদ, তিলক কর, সামারা এলাহী, সানিকা এলাহী, রাকিন এলাহী, আহসান সাদাফ, লাবিবা ইসরাত রহমান। মুক্তিসেনাদের সেই স্মৃতিজাগানিয়া গানের রেশ কানে রেখে দর্শকরা বিদায় নিলো দেশাত্ববোধের নতুন চেতনা নিয়ে। 

post
অনুষ্ঠান

’বাইটপো’র উদ্যোগে “বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকা” শীর্ষক সেমিনার ২৩ অক্টোবর

‘বাংলাদেশি আমেরিকান আইটি পিপলস অর্গানাইজেশন’(বাইটপো)’র উদ্যোগে ২৩ অক্টোবর “বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকা” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে ওয়াশিংটন ইউনভিার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি(ওয়াস্ট)’র অডিটরিয়ামে।এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আমীর মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বাহাদুর।বিশেষ অতিথি থাকবেন ‘আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ’ এর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিউজার্সির মনমাউথ ইউনিভার্সিটির স্কুল অব সোস্যাল ওয়ার্কের এমিরিটাস প্রফেসর ড. গোলাম এম মাতবর, দি ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিকেল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার (আইইই)’র নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিকেল এন্ড কম্প্যুটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রফেসর ডঃ সাইফুর রহমান, বিশ্বব্যাংকের কনসালটেন্ট ড. আনোয়ার করিম, ম্যারিল্যান্ডের কপিন স্টেট ইউনিভার্সিটির ন্যানোটেকনলজির ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. জামাল উদ্দিন, বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা ড. ফয়সাল কাদের। এ ছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেবেন ওয়াস্ট’র চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ, ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের সাবেক প্রধান রোকেয়া হায়দার, সরকার কবীরুদ্দীন, প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. আমিনুর রহমান, ড. মিজানুর রহমান, ড. শোয়েব চৌধুরী প্রমুখ।সেমিনারের সার্বিক দায়িত্ব ও পরিচালনা করবেন বাইটপোর ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইফুল্লাহ খালেদ, সেক্রেটারি হাবিবুল্লাহ কচি ও এন্থনী পি গোমেজ। সভাপতিত্ব করবেন বিশিষ্ট লেখক, আইটি বিশেষজ্ঞ ও বাইটপোর সভাপতি সামছুদ্দীন মাহমুদ।

post
অনুষ্ঠান

নিউ ইয়র্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন

পয়লা জুলাই ২০২২ । এই দিন ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম জন্মদিন। এই দিন অপরাহ্ণে নিউ ইয়র্কের লাগোর্ডিয়া ম্যারিয়ট রূপ পেয়েছিল এক টুকরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। শতবর্ষী এই দেশশ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের প্রবাসী এলামনাইরা নিজেদের স্মৃতির স্বর্ণসুষমায় হিরন্ময় করে তুলেছিলেন সময়টাকে। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র সঞ্চালনায় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম জন্মদিনে শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানের শুভসূচনা হয়। ম্যারিয়টের ফরেস্টহিল ও ফ্রেশমেডো রুম তখন দেশমাতৃকার প্রতি অপ্রতিরোধ্য আবেগের ফল্গুধারায় সিক্ত হতে থাকে। প্রথা মেনে পরিবেশিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীতও। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, অর্জন ও ঐতিহ্য নিয়ে দুটি ডকুমেন্টরি প্রদর্শিত হয়। চিরচেনা জায়গার প্রিয়তম স্থানগুলো দেখতে দেখতে মনের অজান্তেই সকলে ফিরে যান নিজেদের জীবনের শ্রেষ্ঠতম দিনগুলোতে। শতবর্ষ পূর্তি উদযাপনের এ অনুষ্ঠানটি ছিলো একেবারেই ব্যতিক্রমী। অনুষ্ঠানে সভাপতি, প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি বা বক্তৃতার প্রচলিত প্রথার অনুসরণ ছিলো না। অনুষ্ঠানটিকে সকলের অংশগ্রহণে সর্বজনীন আনন্দের স্মারক হিসেবে তুলে ধরার প্রত্যয়ই অনুসৃত হয়েছে সকল কর্মকাণ্ডে। উপস্থিত প্রত্যেকের পরিচিতি ও সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণ ছিল অনুষ্ঠানের একমাত্র উপজীব্য। স্মৃতিচারণে প্রত্যেকে নিজেদের জীবনের শ্রেষ্ঠতম সময় হিসেবে যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্বকালকে উল্লেখ করেছেন পাশাপাশি নিজেদের বর্তমান অবস্থান ও অর্জনের নেপথ্যেও এই প্রতিষ্ঠানের অনবদ্য ভূমিকার কথা অকুণ্ঠচিত্তে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নিজেদের প্রত্যাশার কথা বলতে গিয়ে প্রায় সবাই গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব দেয়া, বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করণ, শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যার সমাধান ও মানসম্পন্ন খাবার ও স্বাস্থ্যসেবার কথা বলেছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাহতাব উদ্দিন আহমদ (লোক প্রশাসন, ১৯৭৫-৭৬), সাবিনা ইয়াসমিন (আইন, ১৯৯০-৯১), ফারহানা পারভীন (আইন, ১৯৯০-৯১), মাহমুদ স্বপন (রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ১৯৯০-৯১), ইব্রাহীম খলিল (ইসলামিক স্টাডিজ, ১৯৯১-৯২), খলিলুল্লাহ (গণিত, ১৯৯৬-৯৭), রাজীব মুক্তাদির (সমাজবিজ্ঞান, ১৯৯৮-৯৯), কোহিনূর বেগম (মৃত্তিকাবিজ্ঞান, ১৯৯৮-৯৯), মোহাম্মদ রোকন (ইতিহাস, ১৯৯৮-৯৯), মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ (ইসলামের ইতিহাস, ১৯৯৮-৯৯), ইমরান আনসারী (রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ২০০০-০১), সজল রোশন (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ২০০০-০১), মামুন রশীদ (ইসলামের ইতিহাস, ২০০৪-০৫), সিলভিয়া সাবরিন (পুষ্টিবিজ্ঞান, ২০০৬-০৬), রেজোয়ানা নাজনিন (সমাজবিজ্ঞান, ২০০৭-০৮), রুখসানা করিম (সঙ্গীত, ২০০৭-০৮), লোকমান হোসাইন (আইন, ২০০৭-০৮), আহসান হাবীব (আইন), শামীম আল আমিন, উম্মে সিদ্দীকা, সামিরা তহসূন, এস সালেহ, এম সুদাইস, মারুফুল ইসলাম, আহমাদ আফনান প্রমুখ। উদ্যোক্তা আইটিভি ইউএসএ’র কর্ণধার মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, অতিমারী কোভিডের কারণে শতবর্ষপূর্তির উৎসব এক বছর পরে হলেও এ অনুষ্ঠান নিউ ইয়র্কে আমাদের আত্মিক বন্ধন সুদৃঢ়করণে এবং সর্ববিধ নেটওয়ার্কিং-এ ইতিবাচক প্রভাব রাখবে। তিনি এলামনাইদের উদ্দেশ্যে বিশেষভাবে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড, এমআইটি, ইয়েলের মতো বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর খ্যাতি ও সমৃদ্ধির পেছনে এলামনাইদের ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এলামনাই হিসেবে আমাদেরকেও এমন ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। স্টেট ইউনির্ভার্সিটির শিক্ষক ও সাংবাদিক ইমরান আনসারী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের জাতিসত্ত্বা গঠনে অনবদ্য অবদান রেখেছে। জনগণের জীবনমান ও চিন্তাধারার মানদণ্ড ঠিক করে দিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস রচনা করেছে। তিনি শীঘ্রই এলামনাইদের জন্য একটি ফলউৎসব আয়োজনেরও ঘোষণা দেন।অনুষ্ঠানে সোশ্যল মিডিয়ার জনপ্রিয় ব্যক্তি সজল রোশন তার সহজাত ঢংয়ে বলেন, বাংলাদেশে খ্যাতিমান হওয়ার জন্য তিনটি ডিগ্রি আপনার অবশ্যই থাকতে হবে। এসএসসি, এইচএসসি এবং টিএসসি! জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষক রুকসানা করিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রতিটি বছর সঙ্গীতে বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করার দূর্লভ সুযোগ পেয়েছিলাম, নিউ ইয়র্কে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সকল উদ্যোগের সাথে একাত্ম হতে চাই।নিউ ইয়র্কে অন্যতম বাঙালি উদ্যোক্তা খলিল বিরিয়ানীর স্বত্ত্বাধিকারী খলিলুর রহমান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে নিজের নামকে ব্র্যান্ডিং করার প্রেরণা আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পেয়েছি। এ প্রতিষ্ঠানের কাছে আমার ঋণ অশেষ। তিনি নিজের ব্র্যান্ডকে আরও সমৃদ্ধ ও বিস্তৃত করার মাধ্যমে এ ঋণ পরিশোধের প্রত্যয় ঘোষণা করেন।এটর্নি আহসান হাবীব বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার পরিচিতি ও বিশ্বস্ততার মাত্রা ঠিক করে দিয়েছে। এখানে আইনবিদ হিসেবে যাত্রা শুরুর প্রাক্কালে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও পরিচয় আমাকে সবিশেষ সহযোগিতা করেছে। এ কারণে এখনো কেউ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় নিয়ে সামনে এলে তার আর কোনো পরিচয় প্রয়োজন পরে না।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক আইন কর্মকর্তা ফারহানা পারভীন বলেন, নিউ ইয়র্কে এসে আইনকর্মকর্তা হিসেবে কাজ শুরুর সাহস ও সফলতার পেছনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় থেকে প্রাপ্ত শিক্ষাই ছিল আমার মূলধন। নিউ ইয়র্কের হাইস্কুল থেকে সদ্য অবসরগ্রহণকারী শিক্ষক মাহতাব উদ্দিন বলেন, দারুন অস্থির সময়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন শুরু করেছিলাম। কিন্তু সময়ের অস্থিরতা অতিক্রমের সক্ষমতা বরাবরের মতোই এই বিশ্ববিদ্যালয় দেখাতে পেরেছিল বলেই অদ্যবধি প্রিয়দেশ কাঙ্খিত গন্তব্যেই অপ্রতিহত গতিতে এগিয়ে যেতে পারছে।মামুন রশীদ বলেন, নিউ ইয়র্কে এলামনাইদের একটি অভিন্ন ও সর্বজনীন প্ল্যাটফর্ম তৈরির চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি এ চেষ্টা সফল করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও লেখক ড. মো. ইব্রাহীম খলিল বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য শ্রেষ্ঠতম বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষত্ব হলো, বিভিন্ন জাতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিষ্ঠা করেছে আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে একটি জাতিকে।সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও স্মৃতিচারণ শেষে উম্মে সিদ্দীকা ও সামিরা তাহসূন তৈরিকৃত সুদৃশ্য ও বিশালাকৃতির কেক কাটা হয়। অভ্যাগতদের বৈকালিক নাস্তায় আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাইদের অভিন্ন একীভূত প্ল্যাটফর্ম তৈরির প্রত্যয় নিয়ে অভ্যাগতরা ঘরে ফিরে যান। আইটিভি ইউএসএ ও রেডিও ৭৮৬ মিডিয়া পার্টনার হিসেবে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একশ বছর ধরে জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান তৈরি এবং বিতরণ করে আমাদের ওপর নিরন্তর আলো ছড়িয়ে চলেছে। দেশের খ্যাতিমান রাজনীতিক, কবি, লেখক, শিল্পী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, শিল্পোদ্যোক্তাসহ প্রায় সকল পেশার সফল মানুষের আতুঁড়ঘর এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে তৎকালীন পূর্ববঙ্গে যার রাজনৈতিক সংগ্রাম শুরু হয়েছিল, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্রষ্টা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবাষির্কী- মুজিববর্ষ একই সঙ্গে উদযাপিত হচ্ছে। মুজিববর্ষ উদযাপনের অন্যতম কর্মসূচি হিসেবে বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মরণোত্তর সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গৌরবান্বিত। ১৯১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ দেশের সর্বপ্রাচীন ও সর্ববৃহৎ এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন। অতপর সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ১৯২০ সালের ১৩ মার্চ ভারতীয় আইন সভায় ‘দি ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট (অ্যাক্ট নং-১৩) ১৯২০’ পাস হয়। সে সময় যারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আবেদন জানিয়েছিলেন তাদের মধ্যে ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, ধনবাড়ির নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক প্রমুখ অগ্রগণ্য। শিক্ষার্থীদের জন্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বার উন্মুক্ত হয় ১৯২১ সালের পয়লা জুলাই। শুরুতে কলা, বিজ্ঞান ও আইন অনুষদের অন্তর্ভূক্ত বিভাগগুলো ছিল সংস্কৃত ও বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ, ফারসি ও উর্দু, দর্শন, অর্থনীতি ও রাজনীতি, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত এবং আইন। প্রথম শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিভাগে মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৮৭৭ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ছিল মাত্র ৬০ জন। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি অনুষদ, ১২টি ইনস্টিটিউট, ৮৩টি বিভাগ, ৫৬টি গবেষণা কেন্দ্র, ১২৩টি অ্যাফিলিয়েটেড কলেজ ও ইনস্টিটিউট রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখন প্রায় ৪০,০০০। আর, পাঠদান ও গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন প্রায় দুই হাজার শিক্ষক।

post
অনুষ্ঠান

কানাডায় বর্ণিল আয়োজনে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব উদযাপন

আহসান রাজীব বুলবুল, কানাডা থেকে: উৎসবমুখর, বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে দিয়ে কানাডার ক্যালগেরির মন্টগোমরিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলা বর্ষবরণ উৎসব ১৪২৯। তুষার আবৃত্ত কানাডার কর্মময় একঘেয়েমি জীবন থেকে এদিন বের হয়ে এসে প্রবাসী বাঙালিরা সারাদিন ব্যাপী আনন্দ উৎসবে মেতেছিল অন্যরকম এক মিলন মেলায়। বাংলার সবুজ মাঠ পেরিয়ে বিশ্ব প্রান্তরে সূর্যের হাসি তেমন দেখা না মিললেও প্রবাসীদের বৈশাখের রঙ, ভালবাসার রঙ, আড্ডার রঙ, লোকজ ভাবনা, বাংলার ঐতিহ্য ও আনুষ্ঠানিকতায় একে অপরের সান্নিধ্যে শ্রদ্ধা, ভালবাসা বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়-মন ভরে উঠেছিল প্রবাসী জীবনের আনন্দ জয়গানে। শিশু-কিশোর আর নারী পুরুষের পদভারে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল মন্টগোমেরি কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তন। নবপ্রজন্মের কাছে আবহমান বাংলার কৃষ্টি ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জাতীয় স্বত্ত্বাকে তুলে ধরাই ছিল বাংলা বর্ষবরণ উৎসবের মূল লক্ষ্য। মেলায় ছিল রঙ বেরঙের এর বাহারী শাড়ি, বাংলার ঐতিহ্যময় পিঠাপুলি খাবারসহ আকর্ষণীয় বিভিন্ন ধরণের স্টল। মূল আকর্ষণ ছিল ছোট ছোট শিশু কিশোরদের হাতে মুখ ও মুখোশ নিয়ে বৈশাখী শোভা যাত্রা। সারাদিনব্যাপী অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীদের পাশাপাশি সঙ্গীত পরিবেশন করেন- কলকাতার জি বাংলা সারেগামাখ্যাত শিল্পী ঐন্দ্রিলা দাস। তার অনবদ্য সঙ্গীত পরিবেশনায় ফুটে উঠে বাংলার রূপ, প্রকৃতি, ভালোবাসা ও নির্মল আনন্দ।পদ্মা-যমুনা মিলনের মতই প্রবাসী বাঙালিদের পাশাপাশি বিদেশিরাও এ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তা উপভোগ করেন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। আনন্দের আবহে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বাঙালির চিরাচরিত আড্ডা আর লোকে লোকারণ্যে মুখরিত গানের সুরে, কবিতার ছন্দে, নাচের মুদ্রায় আর উপস্থাপনায় কোথাও যেন ঘটেনি ছন্দপতন। আয়োজক 'আমরা সবাই' সংগঠনের সভাপতি রুপক দত্ত বলেন, আমাদের রয়েছে সুন্দর একটি সংস্কৃতি, যে বলয়ে আমরা বেড়ে উঠেছি, আমাদের সেই ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নবপ্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চাই। সারা বিশ্ব আনন্দময় হয়ে উঠুক বছরের প্রথম দিনে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।ক্যালগেরির বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও এবিএম কলেজের প্রেসিডেন্ট ড. মো: বাতেন বলেন, খুবই ভালো লাগছে, আমাদের বাংলা বর্ষবরণ উৎসবে বিদেশিদের উপস্থিতি দেখে। নতুন বছর সবার জীবনে আনন্দ আর অনাবিল শান্তি বয়ে আনবে, পহেলা বৈশাখের এই আনন্দ সারা বছর বাঙ্গালিদের মাঝে বিরাজমান থাকবে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।ক্যালগেরির সংগীতশিল্পী ঐশ্বর্য গুহ বলেন, আমরা বাংলাদেশের রমনার সেই বটমূলের বৈশাখকে খুব মিস করছি। তবুও দীর্ঘ দুই বছর পর পরিবার পরিজন নিয়ে এখানে বৈশাখের আনন্দে শামিল হতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা। মঙ্গলময় হয়ে উঠুক পুরো পৃথিবী।দূর প্রবাসে বাঙালি সংস্কৃতির এ উৎসব যেন এক মহামিলন। কর্মজীবনের পাশাপাশি সম্প্রীতির বন্ধনে এমনি করে বারবার এই মহামিলনে জেগে উঠবে নতুন প্রজন্ম, হৃদয়ে বাংলাদেশকে ধারণ করে লাল সবুজ আর মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ হয়ে উঠবে আরও সুন্দর- এমনটাই প্রত্যাশা ক্যালগেরিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের।

post
অনুষ্ঠান

কানাডার ক্যালগেরিতে বাংলাদেশিদের চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈশাখী মেলা উদযাপিত

বাংলা বছরের শেষ দিনকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করে নিতে কানাডার ক্যালগেরিতে বাংলাদেশ পূজা পরিষদ অব ক্যালগেরির আয়োজনে গ্রামবাংলার চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈশাখী মেলা উদযাপিত হয়েছে।দিনব্যপী অনুষ্ঠানে ছিল হেনা আর্ট, ফেইস পেন্টিং, বাংলা সংস্কৃতির হরেক রকমের খাবার ও বিভিন্ন ধরনের স্টলে ছিল বাহারি রকমের শাড়ি।মেলায় কোমলমতি শিশু-কিশোরদের জন্য ছিল বিশেষ আয়োজন। প্রবাসী বাঙালিরা নানা রঙে সেজে শোভাযাত্রার মাধ্যমে স্বাগত জানায় নতুন বছরকে। প্রবাসীদের আয়োজন যেন গ্রাাম-গঞ্জের ঘাটে, মাঠে, বয়সী বটের তলায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের সেই দিনগুলোর কথাই যেন মনে করিয়ে দেয়। বিকেলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চৈত্রসংক্রান্তির অনুষ্ঠান সমাপ্তি হয়। দীর্ঘ দুই বছর করোনা বিরতির পর প্রবাসীরা যেন নতুন করে জেগে উঠেছিল। গ্রাম বাংলার মতোই তারা নতুন পোশাকে সজ্জিত হয়ে আনন্দে মিলিত হয়েছে একে অপরের সান্নিধ্যে। বিনিময় করছেন কুশলাদি। পরিবার-পরিজনের শিশু-কিশোরদের পদচারণায় পরিণত হয়েছিল এক মিলন মেলার। মুহূর্তেই বাংলাদেশ সেন্ট্রার পরিণত হয়েছিল একখণ্ড বাংলাদেশে। চৈত্র সংক্রান্তি অনুষ্ঠানের আয়োজক লীনা বৈরাগী জানান, অনেক দিন পর সবার সঙ্গে মিলিত হয়ে এক অন্য রকম আনন্দ উপভোগ করছি। তাছাড়া ক্যালগেরিতে আমরা প্রথমবারের মতো চৈত্রসংক্রান্তির অনুষ্ঠান করছি। আবহমান বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরাই আমাদের এই অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য। আমরা চাই, যেন আমরা আমাদের সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়ে যাই। মা মাটি ও দেশ যেন থাকে আমাদের হৃদয়ে। অন্যতম আয়োজক প্রনব দাস জানান, শৈশবের চৈত্র সংক্রান্তির মেলা কে খুব মিস করি। হয়তো আর কোনোদিন সেই মেলা ফিরে আসবে না, কিন্তু আমরা চাই আমাদের প্রজন্মের মাঝে আমাদের সংস্কৃতি যেন জীবিত থাকে। ছোটবেলার সেই যাত্রা, সার্কাস, বায়োস্কোপ, পুতুলনাচ, ঘুড়ি ওড়ানো চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা এখানে না থাকলেও দেশ যেন থাকে হৃদয়ে। হিন্দু পঞ্জিকা মতে, দিনটিকে গণ্য করা হয় মহবিষুব সংক্রান্তি নামে। হিন্দুরা পিতৃপুরুষের তর্পণ করে থাকে, নদীতে বা দিঘীতে পূণ্যস্নান করে থাকে। শাস্ত্র ও লোকাচার অনুসারে চৈত্রসংক্রান্তির দিনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস প্রভৃতি ক্রিয়াকর্মকে পূণ্যজনক বলে মনে করা হয়। ক্যালগেরির প্রবাসী বাঙালিরা অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে চলেছেন তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে।

post
অনুষ্ঠান

রমজানকে স্বাগত জানিয়ে নিউইয়র্কে আলোচনা, মসজিদে মসজিদে প্রস্তুতি

রমজান অত্যন্ত বরকতময় মাস। এটাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে কাজে লাগাতে হবে। শুধু ইবাদত-বন্দেগী নয়, বাড়িয়ে দিতে হবে দান-সদকা। অসহায় প্রতিবেশীর দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।পবিত্র মাহে রমজান স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত একটি আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্র ইসলামি দাওয়াহ টেলিভিশন আইটিভি এবং আর্তমানবতার সেবায় কাজ করা খলিল ফুড ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ওয়েলকাম রামাদান শিরোনামে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ইমাম মঈনুল ইসলাম, ইমাম ওবায়দুল হক, হাফেজ এবাদ চৌধুরী এবং হাফেজ জাকির আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ খলিলুর রহমান। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা ও পরিচালনায় ছিলেন আইটিভির সিইও মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ছারছীনা দরবার শরীফের পীরে কামেল শাহ মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী। পবিত্র মাহে রমজানকে স্বাগত জানাতে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ এন মজুমদার, আবদুস শহীদ, ডা. আব্দুস সবুরসহ আরও অনেকে। মসজিদে মসজিদে রমজানের প্রস্তুতি এদিকে মুসলমানদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত পবিত্র মাহে রমজান শুরুর ঠিক আগের দিন নিউইয়র্কের মসজিদে মসজিদে চলছে মাহে রমজানের প্রস্তুতি। এরই মধ্যে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর আকাশে রমজানের চাঁদ দেখা যাওয়ার খবর এসেছে। যার সাথে মিল রেখে যুক্তরাষ্ট্রেও শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মান। শুক্রবার জুম্মার নামাজের খুতবার পুরোটা অংশজুড়েই ইমাম ও খতিবরা রমজানের ইবাদত-বন্দেগী নিয়ে আলোচনা করেছেন। নিউইয়র্কের মুসলিম কমিউনিটির অন্যতম বড় মসজিদ জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার তথা জেএমসিতে জুমার খুতবা দিয়েছেন ইমাম শামসি আলী। তিনি বলেন, আবারও বছর ঘুরে আমাদের সামনে হাজির হয়েছে পবিত্র রমজান। এই মাসটিকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। ইবাদত বন্দেগীতে বেশি সময় ব্যয় করতে হবে। আমরা যেন রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করতে পারি, সেই কামনা করছি। রমজানে নিরাপত্তার জন্য পুলিশের প্রতিশ্রুতি এছাড়াও রমজান মাসে ৪৩ প্রিসেন্ট এলাকায় বসবাসরত মুসলমানরা যাতে নির্বিঘ্নে ইবাদত বন্দেগী করতে পারেন, সেজন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নিউইয়র্ক সিটি পুলিশের ৪৩ প্রিসেন্টর কর্মকর্তারা। গত ৩০ মার্চ স্থানীয় ইমাম ও কমুউনিটি নেতাদের সাথে মতবিনিময়কালে পুলিশ কর্তকর্তারা জানান, রমজানে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা বিশেষ করে মসজিদ এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা টহলের ব্যবস্থা করা হবে। স্ট্রিট পার্কিংয়ের ব্যাপারেও পুলিশের পক্ষ থেকে নমনীয়তা দেখানো হবে বলে জানান তারা। জুমা বা ঈদের নামাজের জামাত রাস্তায় আদায় করতে সাময়িকভাবে রাস্তা বন্ধ রাখার ব্যাপারেও সাহায্য করা হবে এই আলোচনায় জানানো হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন- ৪৩ প্রিসেন্টের পুলিশ কমান্ডার কিয়ান রামসি, কমুউনিটি এ্যাফেয়ার্স লুইস ম্যান্ডেজ, মূল ধারার রাজনীতিবিদ ও আইনজীবি এন মজুমদার, পার্কচেষ্টার ইসলামিক সেন্টারের ইমাম মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ, মাওলানা মঈন উদ্দিন, বিবিএর সভাপতি এ ইসলাম মামুন, খলিলুর রহমান, এমডি আলাউদ্দিন, মঞ্জুর চৌধুরী জগলুসহ আরও অনেকে।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.